গোপন ও ব্যক্তিগত ছবি নিরাপদে রাখার পাঁচটি কৌশল

ব্যক্তিগত ও গোপন নগ্ন ছবি ফাঁস হলে তোলপাড় শুরু হয়। সাড়া বিশ্বে এ নিয়ে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। একান্ত ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ্য হয়ে পড়ায় বিপাকে পরেছিলেন তারকারা। তবে একটু সচেতন থাকলে হ্যাকারদের হাত থেকে তারা ছবি চুরি ঠেকাতে পারতেন। এ ধরনের ছবি ফাঁস হওয়ার ঘটনায় লজ্জার মুখে পড়তে হতো না তাদের।

ছবি নিরাপদ রাখার পাঁচ কৌশল তুলে ধরা হলো এ প্রতিবেদনে।

দ্রুত ডিলেট করা

মোবাইল ফোনের সাহায্যে গোপন ছবি তোলা হলে সেটি দ্রুত ডিলেট করে দেয়াই সবচেয়ে ভালো। কেননা ছবি মুছে ফেলে যত দেরি হবে, ফাঁস হওয়ার সম্ভবনা ততো বাড়তে থাকবে। তাই শখের বসে একান্ত ব্যক্তিগত ছবি তুলে থাকলেও সেটির প্রয়োজন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ডিলেট করে দিতে হবে।



ক্লাউডে গোপন ছবি না রাখা

অনলাইনে কোনো তথ্য গোপন রাখা খুবই কঠিন। সেটা যতই নিরাপত্তার সঙ্গে রাখা হোক না কেন। তাই গোপন ছবি ক্লাউডে না রাখাই ভালো বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপলের হ্যান্ডসেটের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ড্রপবক্স কিংবা গুগল ড্রাইভের মতো ক্লাউডে ব্যাকআপ রাখা যায় যায়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাকআপ না করে ম্যানুয়ালি তা সংরক্ষণ করা করা উচিত। এ ছাড়া ক্লাউডে গোপন ছবি থাকলে তা ডিলেট করে দেয়া উচিত।

পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা

স্মার্টফোনের সব সময় শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। স্মার্টফোনে কোনো গোপন ছবি থাকে তাহলে পাসওয়ার্ড সেটিকে হ্যাকারদের হাত থেকে কিংবা হঠাৎ করে প্রকাশিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে।

এতে করে স্মার্টফোন হারিয়ে গেলেও কেউ লগইন করে ব্যক্তিগত গোপন ছবি সহজে নিতে পারবে না। তবে সব সময় জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।

ফিশিং এড়িয়ে চলা

সাইবার অপরাধীরা গ্রাহকদের তথ্য হাতিয়ে নিতে ফিশিং প্রতারণার কৌশল অবলম্বন করে থাকে। ফিশিং বলতে প্রতারণার মাধ্যমে কারও কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ইত্যাদি সংগ্রহ করাকে বোঝানো হয়।

দুর্বৃত্তরা এ পদ্ধতিতে কোনো সুপ্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইটের নামের আড়ালে মানুষের কাছ থেকে তথ্য চুরি করে থাকে। ব্যবহারকারীরা সেটাকে আসল সাইট ভেবে নিজের তথ্য প্রদান করে। আর এ তথ্য হাতিয়ে নিয়ে সেগুলোকে নানা কাজে লাগায়। তাই সব সময় ফিশিং সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে এবং যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

ছবি তুলতে ক্যামেরা ব্যবহার

গোপন ছবি তোলার ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহার উপযোগী ক্যামেরার ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে। শুধু ইন্টারনেট সংযোগবিহীন ক্যামেরায় ছবি তোলা নয়, গোপন ছবি তোলার পর তা সংরক্ষণের ডিভাইসটিতেও সেরূপ হওয়া উচিত। তাহলে শতভাগ নিরাপদে থাকবে গোপন ছবি।

No comments:

Post a Comment